AmazedBD

A Cricket News Blog

Breaking

Friday, June 14, 2019

June 14, 2019

সাকিব আল হাসান-মোটিভেশন

সাকিব আল হাসানকে একবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হলো- "গ্রেট প্লেয়ারদের ভালো খেলার পেছনে একটা মোটিভেশন থাকে। আপনার অনুপ্রেরণার উৎস কী? জবাবে সাকিব তার চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন।
সাকিবের জবানীতেই শুনুনঃ
" আমি একবার ঢাকার জ্যামে বসে কুলকুল করে ঘামছি। এমন সময় এক পথশিশু আমার গাড়ির কাছে এসে বললো- " স্যার, একটা ফুল নিবেন?" "আমি তার সঙ্গে থাকা সবগুলো ফুল নিয়ে নিলাম। তারপর গাড়ির জানালার কাচ খুলে দাম দিতে যাবো- ঠিক এমন সময় ওই ছেলে আমাকে দেখে চিনে ফেললো ! ফুলওয়ালা ছেলেটা বললো- " আপনে ছক্কা সাকিব না !? " হাসতে হাসতে বললাম- " হ্যাঁ ! " .তখন ছেলেটা দাম নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললো- " দাম লাগবো না, স্যার ! আপনে প্রত্যেক ম্যাচে কমসে কম একটা করে ছক্কা মাইরেন- তাইলেই হইবো !"
প্রতিবার মাঠে নামার আগে আমার মাথায় থাকে- " ওই ছেলের কাছ থেকে নেওয়া ফুলের দাম
#মি_অলরাউন্ডার

Thursday, June 13, 2019

June 13, 2019

যুবরাজ সিং!❤️❤️❤️

পুজোর সময়, নবমী সম্ভবত। AAEI ক্লাবে দুপুরে খেতে গেছি। কেনিয়ায় তখন ক্যাঙ্গারুদের সামনে অসহায় ভারত। সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড় আউট, ক্রিজে নিজের ছায়ার মতো ফর্মে বিনোদ কাম্বলি।
১৮ বছরের বাঁহাতি ছেলেটা দৌড়ে গেল মাঠের মাঝখানে। ফর্সা, লম্বা, বড্ড ছটফটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে প্রথমবার। উল্টো দিকে গ্লেন ম্যাকগ্রা। একটা নির্ভুল বাউন্সার, পড়ার পরে টক করে একটা শব্দ। ফিদা হুসেনের তুলিতে আঁকা রাজকীয় হুক শটটা আছড়ে পড়ল স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে! বিরাশি সিক্কার থাপ্পড়।
একবার তাকিয়ে দেখল ম্যাকগ্রা। কে রে ছেলেটা?
চুইংগাম চিবোতে চিবোতে আবার গার্ড নিচ্ছে।
নীল জার্সির পিছনে লেখা নাম, যুবরাজ সিং!
শকাব্দ, খ্রীষ্টাব্দ, বঙ্গাব্দ যেভাবে শুরু, ওই দিনটাও সেরকম ছিল। নতুন যুগের শুরু। প্রথম ম্যাচেই ৮৪ রান শুধু একটা সংখ্যা ছিল না, আগমনী ছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের নবজন্মের মহালয়া। মাথায় মহারাজ, আর অকুতোভয় যুবরাজ। পাঞ্জাব দা পুত্তর, অনেক না পাওয়ার উত্তর।
তারপর ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল। সঙ্গী কাইফ। ছক্কাগুলো এমন যে, আম্পায়ার ছয়ের বদলে বারো দিলে সুবিচার হতে পারত। আউট হয়ে ফেরার সময় মুখটা মনে পড়ে এখনও। অজয় জাদেজা বা কাম্বলির মধ্যে এমনিতে ওরকম আবেগ দেখতাম না। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হোম টিমের বিরুদ্ধে অক্লেশে ১৩৯ করার লোকও আর কে ছিল।
২০০৭ কুড়ি বিশের বিশ্বকাপ। স্টুয়ার্ট ব্রড সেদিন স্টুয়ার্ট লিটল হয়ে গেছে।
ওভার শেষের স্কোরবোর্ড... যুবরাজ: ৬ ৬ ৬ ৬ ৬ ৬!
ওই টুর্ণামেন্টেই অজিদের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৭০। মাথায় রাখা ভালো, তখনও আইপিএল দিনের আলো দেখেনি।
কাপ আমাদের, সেরা প্লেয়ার যুবরাজ।
২০১১ বিশ্বকাপ। সফরের মাঝপথেই রক্তবমি, শরীর খারাপ। তা নিয়েই পরের পর উইকেট, প্রতি ম্যাচে রান! বিরাটচিত হুঙ্কার তখনও আমরা দেখিনি। আমরা যুবরাজকে দেখতাম। সৌরভের পর, আ ট্রু স্পোর্টসম্যান ক্যারেক্টার। জানা নেই, সুনীল দত্তের মতো যোগরাজ সিংও কি তখন ছেলেকে গান গেয়ে শোনাতেন? রুক জানা নহি, তু কহি হারকে...
মনে করিয়ে দেয়া ভালো, এবারও কাপ আমাদের, সেরা প্লেয়ার যুবরাজ।
এমন ফর্মের তুঙ্গে থাকার সময় ক্যান্সার! জীবনমৃত্যুর হিসাব ঝুলছে সরু সুতোয়। কেউ ভাবেইনি, বাঁচবে। ছেলেটা কিন্তু ক্রিকেটে ফিরতে চেয়েছিল। কেমো নেয়া ফোলা ফোলা শরীর, মাথায় একটা চুল নেই, সেই ছেলেটা যখন আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়ার্স ক্যাম্পে ঢুকে ব্যাট নেড়েচেড়ে দেখছে, সত্যি বলছি, মনে হয়েছিল মৃত্যু খুব তুচ্ছ এর কাছে। এ ফিরবে। তথাকথিত মহান ক্যাপ্টেনের পছন্দের না হলেও ফিরবে।
ফিরেছিল। পরিচিত খুনে মেজাজে। সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। প্রথম রানটা নেয়ার পর চোখের কোলে জল শুধু ওর আসেনি। এতগুলো কেমো, ওষুধ তো শুধু নয়, লড়াইটা আরও বড় ছিল। নিজের ছায়া নয়, স্বমূর্তিতেই ফিরতে হবে, এটাই ছিল টার্গেট।
তবে এটা ভাবেননি, তিনিও টার্গেট ছিলেন। কিছু চার আনার ক্রীড়া সাংবাদিকের টার্গেট, কিছু আট আনার সতীর্থ ও কর্মকর্তার টার্গেট। তাই ম্যাচ হারলেই মুজরিম আপনি। লারজার দ্যান লাইফ আপনি, তাহলে অন্য কাউকে ভগবান বানানো হবে কি করে? তার ওপর আপনার শাস্ত্রজ্ঞান (শাস্ত্রী-জ্ঞান) কম। তাই বাদ।
রায়াডু ইন, কেদার ইন, দেদার ইন, এমনকী স্টুয়ার্ট বিনিও, আরও কারা কারা যেন দেশের জার্সিটা গায়ে গলানোর সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু যুবরাজ? নাহ, ও আউট।
সেই কিন্তু ফেরাতে হল। প্রত্যাবর্তনে ১৫০ রানের ধুঁয়াধার ইনিংসটা হজম করতে হল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংসটা লোকে হাঁ করে দেখল।
ট্রফিটা জিতে গেলে হয়তো অন্যরকম হতো, কিন্তু ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর আপনি আবার সফট টার্গেট। প্রতি প্রতিবেদনে লেখা হতে থাকল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ রানে আপনার ক্যাচ মিস করেছিল বলেই ৫২ রানটা এসেছিল। যেন আর কোনও প্লেয়ারের ক্যাচ মিস হয়নি বা তার পরেও রান করলে তাকে নিয়ে ঘিনঘিনে আদিখ্যেতা হয়নি।
তারপরও দু বছর কেটে গেছে যুবরাজ। ২০১৯ এখন। আপনি আর দেশের হয়ে খেলেননি। তাই আজ হঠাৎ অবসরের ঘোষণাটা শোনার পর থেকে, কেমন যেন মুক্ত পুরুষ মনে হচ্ছে নিজেকেও।
আপনি দেশকে দুটো বিশ্বকাপ দিয়েছেন।
আপনি নিজের জন্য খেলেননি কোনওদিন।
আপনাকে ফর্মে ফেরানোর জন্য দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সিরিজের পর সিরিজ খয়রাতি করা হয়নি।
আপনার জন্য কোনও কর্পোরেট লবিকে নামতে হয়নি।
আপনি জীবন দিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন যুবরাজ। ক্রিকেট দিয়ে জীবন চিনিয়েছেন। খাদের ধার থেকে ফিরতে শিখিয়েছেন। মধ্যমেধার প্রবল চাটুকারিতার স্রোতে ভেসে যেতে রুখেছেন কত মানুষকে। জিততে শিখিয়েছেন।
বলতেই পারেন, আর ক্রিকেট খেলব না।
কিন্তু আপনি তো জীবনের মাঠে খেলছেন। অনন্ত অক্সিজেন ফুসফুসে নিয়ে।
অবসর নিলাম বলতে নেই যে... ❤️❤️❤️

Monday, June 10, 2019

June 10, 2019

ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং বাংলাদেশ দল

ভাই বোনেরা ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং বাংলাদেশ দল নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত। একটু থামেন, এক গ্লাস পানি খান। একটু বসেন বসেন বসে যান................
যাই হোক কথা হইলো, খেলার ময়দান আমাগো টেকায় বড়লোক হওয়া দেশ যারে বলি বিদেশ যাই হোগ বৃটিশদের এলাকায় খেলা।
আমাদের দলের যেই ১১ জন খেলতেছে এদের নিয়ে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা চলতেছে কারন শেষের দুই ম্যাচ হারছি এবং খুব বাজে ভাবে বৃটিশদের বুদ্ধি এবং ধৈর্য্যর কাছে পেদানী খাইছি শেষ ম্যাচটাতে। তো কথা হইতেছে.. বিশ্বকাপ চলে আপনারা বেশি উত্তেজিত হবেন না। কারন আপনাদের উত্তজনার উত্তাপ ফেবুর মাধ্যমে ১১ জনের কানে ঠিকই পৌছাইতাসে। যাই হোক কথা হইলো, ......>>>>>>
>কি হইতে পারতো আর কি হইতে পারে, কিন্তু ফ্যাক্ট হইলো কি হইতেছে।
আমাদের প্রথম সমস্যা: ওপেনিং এ তামিম রান পাচ্ছেনা, এবং সৌম্য শেষের ম্যাচে খুব ভালো একটা বলে আউট হয়েছে ম্যাচের শুরুতেই। তাই ৩০০ রান করতে পারতেছি না।
দ্বিতীয় সমস্যা: হলো আমাদের বলিং ডিপার্টমেন্ট পুরাই অফ ফর্মে: আসলেই কি অফ ফর্মে নাকি কন্ডিশনের কারনে? এইটা পরে বলতেছি।
তৃতীয় সমস্যা: হলো একজন চতুর্থ পেস বলার দরকার, কারন ইংলিশ কন্ডিশনে পেস বলার না থাকা মানে ক্যাপ্টেন আমেরিকার শিল্ড নাই বা থরের হাতুড়ি নাই।
সমাধান: খেলোয়াড়দের বডি ল্যাংগুয়েজ একেবারে ম্যাড় ম্যাড়ে এটা ঠিক করার জন্য নিজেদের মধ্যে আরো আত্ম বিশ্বাস আনতে হবে।
> তামিম ইকবালকে ১ টা ম্যাচের জন্য রেস্ট দেয়া হোক। লিটন খেলুক (এক ম্যাচ বসলেই পরের ম্যাচ থেকে রান পাওয়া শুরু করবে।)
> ৪র্থ পেসার হিসেবে রুবেল এবং সে খেলবে মিথুন এর বদলি হিসেবে
> সৌম্য সরকারের হাতে বল সপে দেয়া ৪ ওভার বলিং করলেই অন্য বলারদের উপর চাপ কমবে।
এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ন : আগে ব্যাটিং নেয়া। এই ইংলিশ কন্ডিশনে এখন পর্যন্ত চেজ করে জেতার থেকে আগে ব্যাটিং করে জেতার হার বেশি।
ব্যাস বেশি ইমোশনাল হবার দরকার কি? রেশিওনাল চিন্তা ভাবনা করে পজিটিভ থাকাটা জরুরী।
বাংলাদেশ দলকে শুভ কামনা।

June 10, 2019

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-পরিসংখ্যান

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ভাইের ২০১৮ থেকে পরিসংখ্যান,
24(23), 2(7), 7(20), 76(92), 4*(1), 39(51), 67*(49), 1(4), 27(54), 25(51), 74(81), 25(31), 4(16), 0(4), 14*(21), 30(51), 13(29), 7(8), 16(36), 30*(34), 35*(29), 19*(21), 46*(33), 20(41), 28(41)
ক্রিকেট একটা পরিসংখ্যানের খেলা আর মাঝে মধ্যে পরিসংখ্যান অনেক কথা বলে। শেষ ২৫ ইনিংসে মাত্র তিনটা হাফ সেঞ্চুরি, ৩৫.২ গড়ে ৬৩৩ রান, স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭৬.৪ !!!
আমরা সবসময় তাকে দেশসেরা ফিনিসার বলে আখ্যায়িত করি কিন্তু একজন ৭৬,৪ এর স্ট্রাইক রেট ধারি কিভাবে একজন ফিনিশার হন। এই পরিসঙ্খান লিখতে যেয়ে আমি প্রত্যেকটা ইনিংস দেখেছি, সত্যি বলতে কি হাতে গোনা কয়েকটা ইনিংসে একরকম ব্যাটিং মানা যায় কিন্তু বেশির ভাগ সময় এই ইনিংসগুলো হয় দলকে ডুবিয়েছে অথবা বিপদে ফেলেছে। সাউথ আফ্রিকার সাথে রাবাদা যখন মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ ফেলল তখন তার স্কোর ১২(১৮), যদি ক্যাচটি ধরে ফেলত আমরা ৩০০ রানের নিচে গুটিয়ে যেতে পারতাম এবং হেরে যেতাম। পরের দুই ম্যাচ এ একি ফর্মুলা দিয়ে দুইবারি ফ্লপ ২০(৪১), ২৮(৪১) যা ফিনিশিং কেন যেকোনো পজিশনেই গ্রহণযোগ্য নয়। আপনারা যদি খেয়াল করেন বাংলাদেশের ফিনিশিং এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে দুর্বল। বিশ্বাস করুণ আর না করুণ আমরা ৪০ ওভারে ৩০০ করলেও আমরা ৩৫০ এর বেশি করতে পারব না।
তামিমের রোল ধরে খেলে রান করা যেটা সে ভাল ভাবেই করছে
সাকিব ও মুসফিক রোল ইনিংসের মাঝে রানের চাকা সচল রাখা যাতে তারা ফুল্লি সাকসেসফুল
মাসরাফির রোল দলকে উজ্জীবিত করে এগিয়ে নেয়া ও বোলিং যেটা সে মোটামুটি ভাবে ভালই করছে
মাহমুদুল্লাহর রোল কি?
ফিনিশিং? অবশ্যই না স্ট্রাইকরেট ৭৬.৪
ইনিংস ধরে খেলা? অবশ্যই না মাত্র তিনটা হাফ সেঞ্চুরি ২০১৮ থেকে
রানের চাকা সচল রাখা? হাহাহা সে নামলেই ঠেক মারা শুরু করবে পরে পুষিয়ে নেওয়ার আশায় তারপর বুম আউট
আমরা আবেগ নিয়ে খেলা দেখি তাই মনে রাখি সেই ব্যাক ত ব্যাক সেঞ্চুরি বা ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের সাথে মারা সেই চার। আমরা সবাই চাই এমন প্লেয়ার যে এখন তার সেরাটা খেলছে, আমাদের নস্টালজিয়ায় না। আমি চিন্তা করি তামিম, মাশরাফি বা মিথুন সবাই এই বাংলাদেশ দলে ফিট করে কিন্তু মাহমুদুল্লাহ না।
বিঃ দ্রঃ আসুন আমরা গঠন মুলুক আলোচনা করি। আর আপনারা জিজ্ঞাস করার আগে বলে রাখি, না আমি মাহমুদুল্লাহর থেকে ভাল ব্যাটিং করতে পারি না বা বেশি ক্রিকেট বুঝি না।


Thursday, June 6, 2019

June 06, 2019

প্লেয়ারদের জন্য সাইকোলজিক্যাল টিপস!

ব্যাটিং:

১.নিজের উইকেটের মূল্য অবশ্যই বুঝতে হবে এবং ছুড়ে ফেলে আসা যাবে না।মনে রাখতে হবে,বোলার যতই স্যাটেল হোক না কেন,পিচে দাড়ায় থাকলে ব্যাটসম্যান ও আপনা আপনি স্যাটেল হয়ে যাবে,তথা রান আসা শুরু করবে।

২- অপরাজিত থাকা অবস্থায় কোন সংবাদ সম্মেলন , কোন নিউজপেপার পড়া যাবে না। মাঝের সময়টুকু একান্ত নিজের সময় হিসাবে কাটানো দরকার। একমাত্র চিন্তা হওয়া দরকার পরের দিন কিভাবে কনসেন্ট্রেশন ধরে রাখা যায়

৩- কোন সংবাদপত্র দেশের ত্রাতা হিসাবে তুলে ধরলে তাকে পাত্তা না দেয়া । নিজের খেলার পারদর্শীতা নিজে আর অন্যান্য ক্রিকেটারদের দ্বারা মূল্যায়ন করা।

৪- একটি ভালো ইনিংস খেলে উল্লাসে মত্ত না হয়ে যাওয়া। পরের ইনিংসে এরচে ভালো করার প্রত্যায় তৈরি করা।

৫- একটি খারাপ ইনিংস খেলে ব্যর্থতায় মুশরে না পড়া। বরং ইনিংসটির চুলে চেরা বিশ্লেষন করা । নন ষ্ট্রাইকিং এন্ডের ব্যাটসম্যানের মতামত নেয়া । ভিডিও ফুটেজ দেখা ।

৬- টেস্টে স্পিনারদেরকে খেলার সময় সিংগলস বেশী নিন। এটা বিপক্ষের স্পিনারদের মনোবল ভেংগে দেয়। একটা চার/ছয়ের চেয়ে তিনটা সিংগলস নিলে স্পিনাররা হতাশ হয় বেশী।

৭- যেই শট এর কারণে অতীত এ একাধিক বার আউট হতে হয়েছে , ইনিংস এর গুরুত্তপূর্ণ সময় এ পুরোপুরি ভাবে সেই শট খেলা হতে নিজেকে বিরত রাখা ।

বোলিং:
১- পরিস্থিতি বুঝে বল করতে হবে।স্লগ ওভারে বল করতে লাইন-লেন্থ যেন ঠিক থাকে সেইদিকে মনোযোগ রাখতে হবে।যখন রানের চেয়ে উইকেটের মূল্য বেশি, তখন ফুলটস দেয়া যেতে পারে।

June 06, 2019

ক্রিকেট জোকস !



Target: আজহার মাহমুদ
#১. পাকিস্তান আসল বাংলাদেশে। বেচারা মাহমুদ পড়ল জ্বরে। জ্বর সেরে উঠে যেই ম্যাচ খেলল, হল MOM। তো অতখন রবিশাস্ত্রী জিজ্ঞেস করল, কেমন লাগল বাংলাদেশের হসপিটালিটি? মাহমুদ উত্তর দিল, খুবই ভাল হসপিটাল। আমার মরার কালা জ্বর মাত্র দুই দিনে সেরে গেল। এরকম হসপিটাল আমি দুইন্যার কোথাও দেখিনি

Target: কামরান আকমল
#1. প্রত্যেক সফল ব্যাটসম্যানের পেছনে থাকেন একজন কামরান আকমল!

#2. মাইকেল জ্যাকসন আর কামরান আকমলের মধ্যে মিল কোথায়? দুজনই হুদাহুদিই গ্লাভস ব্যবহার করেন!

FYI, এই উইকেটকিপার একবার প্রায় একাই দলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন । নাগালের মধ্যে থাকা রস টেলরের ক্যাচ নিতে পারেননি আকমল। একই ওভারে ক্যাচ নিয়েও ফেলে দিয়েছেন। রস টেলর এরপর পাকিস্তানকে পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে দিয়েছিলেন। http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/433581.html

Target: ভুসিমুসি সিবান্দা
"He held his innings together" - the commentator commented while he was leaving the filed holding two pieces of his broken bat. He was so confused with the broken bat, he didn't even realize he was bowled out and started to sneak a run :) http://www.youtube.com/watch?NR=1&feature=endscreen&v=d83O7VbZnkk

Target: সৌরভ গাঙ্গুলী
#1. Ganguly had a large opinion of his batting prowess. He was approached by a KSCA member who couldn't resist saying to him,'You know, whenever I watch you bat, I always wonder...
''I know, I know. How I do it.''
No. Why you do it.

#2. How can u say “Get Out” to Ganguly politely?
Ans: Ask him to go to bat.

Target: শহীদ আফ্রিদি
#1. কানা বাবা আফ্রিদি কখন তার নামের পাশে ১০০ রান দেখতে পাবে ?উত্তর : যখন সে বল করবে ।

Taret: রোহিত শর্মা
#1. রহিত শর্মার প্রিয় পাখি কী?
উত্তর : হাঁস (duck)।

Target: শেন ওয়ার্ন
#1. As Daryll Cullinan was on his way to the wicket...
Shane Warne : i have been waiting 2 years for another chance to humiliate you
"Looks like you spent it eating," Cullinan replied

Target: কপিল দেব
#1. Kapil Dev once said, "Try, try and try until you don't succeed."

Target: উৎপল শুভ্র
#১. সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত হয়ে একটি গাড়ি রাস্তায় পড়ে আছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে উৎসাহী জনগণের ভীড় জমেছে। দৈনিক প্রথমকালোর রিপোর্টার উৎপল শুভ্র নিউজ সংগ্রহের জন্যে এসেছেন কিন্তু ভীড়ের কারণে গাড়ির কাছাকাছি যেতে পারছেন না। রিপোর্টতো তাকে তৈরী করতেই হবে, তাও অন্য সবার আগে। বুদ্ধি করে তিনি চিৎকার দিলেন- "আপনারা সরেন, আমাকে যেতে দেন, আমি ঐ ভিকটিমের ছেলে, আপনারা সরেন" এই বলে তিনি ভীড় ঠেলে ভেতরে ঢুকে কাছে গিয়ে দেখেন গাড়ির সামনে একটি গাধা আহত হয়ে শুয়ে আছে!

Target: ফ্রেড ট্রুম্যান
#১. ইংল্যান্ডের কোন এক ভারত সফরের ঘটনা।প্রথম ভারতে গিয়ে ‘ভেলপুড়ি’ খাওয়ার লোভ অনেক ইংরেজ খেলোয়াড়ই সামলাতে পারেননি।খেয়েছেনও ইচ্ছামত।
পরদিন ম্যাচডে।বল করতে যাচ্ছেন ফ্রেড ট্রুম্যান।দৌড় শুরু করলেন,আম্পায়ারকে অতিক্রম করলেন,পপিং ক্রিজ অতিক্রম করলেন,স্ট্রাইকিং-এন্ডের ব্যাটসম্যান,উইকেটকীপার,সীমানা সবাইকে অতিক্রম করে সোজা ড্রেসিংরুম,লক্ষ্য টয়লেট!ক্ষানিক বাদেই দরজায় ট্রুম্যান কারও টোকা দেয়ার আওয়াজ পেলেন।বাইরে থেকে আম্পায়ারের কন্ঠস্বর ভেসে আসল ,“ফ্রেড,উই নিড দা বল!”

Target নাইঃ ক্রিকেটরঙ্গ
#১. মাশরাফি ভারতীয় হলে কি হতেন?
উত্তর : অলরাউন্ডার।

#২. দুজন নিবেদিতপ্রাণ ইয়র্কশায়ার দর্শক খেলা দেখছিলেন হেডিংলিতে বসে।এর মাঝে একজন খেয়াল করলেন তিনি মানিব্যাগ বাড়িতে ফেলে এসেছেন।আরেকজন পরামর্শ দিলেন ফিরে গিয়ে আনার জন্য।ফ্যাকাশে মুখে বন্ধু জবাব দিলেন ,“বলতে ভুলেই গেছি বব,তোমার জন্য খারাপ খবর আছে!তোমার স্ত্রী তোমাকে ছেড়ে গেছে,তোমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে!”
“তোমার জন্য আরও খারাপ খবর আছে!”বব জবাব দিলেন।“হটন আউট!”

#৩. বোলার বোলিং এর রান-আপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ঠিক তখন মাঠের পাশ দিয়ে এক শবযাত্রা যাচ্ছিল।বোলার থামলেন,ক্যাপ খুলে হাতে নিলেন,স্পর্শ করলেন বুকের কাছে,মাথা নোয়ালেন একবার।আম্পায়ার ঘটনাটা খেয়াল করছিলেন।বললেন ,“তুমিই একটা লোক যে মৃতদের সঠিক সম্মান দিতে জানে!’’
“এর চেয়ে কম আর কী করি বলুন?"বোলার জবাব দিলেন।“হাজার হলেও ৩০ বছর তার সাথে আমি সংসার করেছি!”

#৪. রেহান সবসময় ক্রিকেট নিয়ে ভাবে।ত্যাক্তবিরক্ত স্ত্রী একদিন ক্ষেপে গিয়ে বললেন ,“ক্রিকেট ছাড়া তোমার মাথায় কি আর কিছু থাকে?আমার বিশ্বাস তুমি এটাও বলতে পারবা না যে আমাদের কবে বিয়ে হয়েছিল!”
“কেন পারবনা?”রেহান উত্তেজিত স্বরে বলল।“অইত সেদিন,যেদিন তামিম লর্ডসে সেঞ্চুরী মারল!”

#৫. ক্লাবের সেরা ব্যাটসম্যান অধিনায়ককে ফোনে বোঝাতে চাইছিলেন কেন তিনি পরের ম্যাচটা খেলতে পারবেন না।অধিনায়ক যেন বুঝতেই চাইছিলেন না!
“না,আমি তোমাকে খেলা ছেড়ে যেতে দিতে পারি না। যদি দিই,তাহলে আর সব খেলোয়াড়কেও একই অনুমতি দিতে হবে,যদি তাদেরও স্ত্রী মারা যায়!”অধিনায়ককে বলতে শোনা গেল।

1-১৯৯১ সালে অ্যাডিলেড টেস্টে ব্যাটিং করছিলেন জাভেদ মিয়াদাঁদ। বোলার ছিলেন মার্ভ হিউজ। খেলার ফাঁকে হিউজকে ‘মোটু বাস কন্ডাক্টর’ বলে খ্যাপাচ্ছিলেন মিয়াদাঁদ। কিছুক্ষণ পরই হিউজের বলে আউট হয়ে মিয়াদাঁদ যখন প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন, মুচকি হেসে হিউজ বলেছিলেন, ‘টিকিট প্লিজ!’

2-ভিভ রিচার্ডস ও গ্রেগ থমাস
গ্ল্যমারগন ও সমারসেটের একটা কাউন্টি ম্যাচে গ্ল্যমারগনের পেস বোলার গ্রেগ থমাস বল করছিলেন স্যার আইজ্যাক ভিভিয়ান অ্যান্ড্রু রিচার্ডসকে। পর পর দুটি বলে ভিভ রিচার্ডসকে পরাস্ত করার পরে থমাস এগিয়ে গিয়ে বললো, ‘ তোমার বিস্মিত হওয়ার কিছু নাই! ফর ইয়োর ইনফো - এটা লাল রঙের, গোল আকৃ্তির এবং ওজন প্রায় পাঁচ আউন্স!’
পরের বলেই রিচার্ডস তাকে ‘রয়্যাল ট্রিটমেন্ট’ দিলো, বল হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে গিয়ে পড়লো মাঠের পাশের নদীটাতে! এবার রিচার্ডস এগিয়ে গিয়ে বললো, ‘গ্রেগ, তুমি তো জানো বলটা দেখতে কেমন; যাও, ওটাকে এখন খুঁজে নিয়ে আসো!’<

3-ভারতের সুনিল গাভাস্কার সবসময় ওপেনিং এ ব্যাট করতেন৷ কিন্তু একদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ আর ওপেনিং নয় চার নম্বরে নামবেন৷ কিন্তু শুরুতেই ক্যারিবীয় বোলার ম্যালকম মার্শাল ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে আউট করলেন৷ গাভাস্কার যখন ক্রিজের দিকে হাঁটছেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস বললেন, ‘‘দেখেছ, তুমি যে নম্বরেই ব্যাট করো না কেন, স্কোর শূন্যই থাকে৷!'<

4-ব্যাংগালোর এ হাই ভোল্টেজ ম্যাচ চলছে ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তান এর মধ্যে। ব্যাট করছেন জাভেদ মিয়াদাদ এবং বোলিং এ ছিলেন কামব্যাক করা একজন স্পিনার ইন্ডিয়ার!!! চরম ঘুর্নি উইকেটে যাতে স্পিনার সেট হতে না পারে সেজন্য জাভেদ মিয়াদাদ একটা ফন্দি আটলেন.... যতবার বোলার বল করে ডাউন দা উইকেটে এসে ব্লক করে বলার এর দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করেন- ''হোয়াট ইজ ইউর রুম নাম্বার???'' স্লিপে তখন ফিল্ড করছিলেন লিটল মাস্টার গাভাস্কার এবং উইকেট কিপিং এ ছিলেন সৈয়দ কিরমানি.... তারাও ব্যাপারটায় অবাক!!! কিরমানি ছোট স্বরে গাভাস্কার কে বলছিলেন '' ইয়ে হো কেয়া রাহা হে??'' নেক্সট টাইম জাভেদ মিয়াদাদ যখন একই কাজ করলেন বলার ইরিটেট হয়ে বলেই ফেলল, হোয়াট উইল ইউ ডু উইদ মাই রুম নাম্বার??? '' মিয়াদাদ এর হাসোজ্জল জবাব--- সিক্স মেরে তোমার রুম এ ফেলব!!! :v

5-একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!

6-"রেহান সবসময় ক্রিকেট নিয়ে ভাবে।ত্যাক্তবিরক্ত স্ত্রী একদিন ক্ষেপে গিয়ে বললেন ,“ক্রিকেট ছাড়া তোমার মাথায় কি আর কিছু থাকে?আমার বিশ্বাস তুমি এটাও বলতে পারবা না যে আমাদের কবে বিয়ে হয়েছিল!”
“কেন পারবনা?”রেহান উত্তেজিত স্বরে বলল।“অইত সেদিন,যেদিন তামিম লর্ডসে সেঞ্চুরী মারল!”"
- এইটাতো বাস্তব ঘটনা! :/ আমার বিয়ে হয় নাই। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে অনেক স্মরণীয় স্মৃতি আমি ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই মনে রাখি। -_-


Wednesday, June 5, 2019

June 05, 2019

মুশফিক ও রানআউট মিস!

সত্যি বলছি মুশফিক ঐ রানআউট মিস করায় আমার ও খুব খারাপ লাগছিলো। একবার ভাবুন তো ঐ মিসের পর পুরো দল যখন এভাবে অসহায়ের মতো মুশির দিকে তাকিয়ে ছিলো তখন ঐ লোকটার মনের অবস্তা কেমন হয়েছিলো?
কতোটা অপরাধ বোধ তার মাঝে কাজ করছিলো? তার ওপর দর্শক সারি থেকে ও মনে হয়না কোন ভালো কথা আসছিলো! হ্যা, ভাই মুশফিক এভাবে আর ও ভুল করেছেন। সত্যি করে বলেন তো ঐ মুশি, ম্যাশদের জন্যই কী আপনি স্বপ্ন দেখছেন না এই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলবেন?
সবাই যখন পানি পান করছিলো মুশফিক একা এক জায়গায় গ্লাভস খুলে বসেছিলেন। মনে আছে দৃশ্যটা? মানুষটা তখন কতোটা অসহায় বোধ করছিলো?
পরিশেষে এটাই বলবো আমরা যেন অতোটা অকৃতজ্ঞ না হই। সবাই জানি মুশি একটু বেশিই আবেগী। এই আবেগটা তো আমাদের খুশি করার জন্য! মেনে নিন দিনটি আমাদের ছিলো না, ভাগ্য একটু ও সহায় ছিলো না। তবে আমাদের বাঘেরা ফাটিয়ে দিয়েছে। এটা অনেক ইতিবাচক হবে আগামী ম্যাচ গুলির জন্য। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচে এর প্রভাব দেখতে পারবেন।
বি পজেটিভ বন্ধুরা। ভালোবাসি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। ❤️❤️




June 05, 2019

ক্রিকেট বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি: তারিখ-ম্যাচ-ভেন্যু

৩০ মে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ওভাল
৩১ মে উইন্ডিজ-পাকিস্তান নটিংহাম
১ জুন নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা কার্ডিফ (দি/রা)
১ জুন আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ব্রিস্টল
২ জুন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ওভাল
৩ জুন ইংল্যান্ড- পাকিস্তান নটিংহাম
৪ জুন আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা কার্ডিফ
৫ জুন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সাউথাম্পটন
৫ জুন বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ওভাল (দি/রা)
৬ জুন অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ নটিংহাম
৭ জুন পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ব্রিস্টল
৮ জুন বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড কার্ডিফ
৮ জুন আফগানিস্তান-নিউ জিল্যান্ড টন্টন (দি/রা)
৯ জুন ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওভাল
১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা উইন্ডিজ সাউথাম্পটন
১১ জুন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ব্রিস্টল
১২ জুন অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টন্টন
১৩ জুন ভারত-নিউজিল্যান্ড নটিংহাম
১৪ জুন ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ সাউথাম্পটন
১৫ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান কার্ডিফ দি/রা)
১৬ জুন ভারত-পাকিস্তান ওল্ড টার্ফোড
১৭ জুন বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টন্টন
১৮ জুন ইংল্যান্ড আফগানিস্তান ওল্ড টার্ফোড
১৯ জুন নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা এজভাস্টন
২০ জুন বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়২০ জুন বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া নটিংহাম
২১ জুন ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা হেডিংলি
২২ জুন ভারত-আফগানিস্তান সাউথাম্পটন
২২ জুন উইন্ডিজ নিউজিল্যান্ড ওল্ড টার্ফোড
২৩ জুন পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা লর্ডস
২৪ জুন বাংলাদেশ আফগানিস্তান সাউথাম্পট২৪ জুন বাংলাদেশ আফগানিস্তান সাউথাম্পটন
২৫ জুন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া লর্ডস
২৬ জুন নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান এজভাস্টন
২৭ জুন উইন্ডিজ-ভারত ওল্ড টার্ফোড
২৮ জুন শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ডারহাম
২৯ জুন নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া লর্ডস (দি/রা)
৩০ জুন ভারত-ইংল্যান্ড এজভাস্টন
১ জুলাই শ্রীলঙ্কা-উইন্ডিজ ডারহাম
২ জুলাই বাংলাদেশ-ভারত এজভাস্টন
৩ জুলাই ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড ডারহাম
৪ জুলাই আফগানিস্তান উইন্ডিজ হেডিংলি
৫ জুলাই বাংলাদেশ-পাকিস্তান লর্ডস
৬ জুলাই শ্রীলঙ্কা-ভারত হেডিংলি
৬ জুলাই অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ওল্ড টার্ফোড (দি/রা)
৯ জুলাই প্রথম সেমি ফাইনাল (১-৪) ওল্ড টার্ফোড
১০ জুলাই রিজার্ভ ডে ওল্ড টার্ফোড
১১ জুলাই দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল এজভাস্টন
১২ জুলাই রিজার্ভ ডে এজভা।
(বি দ্র : দিবাগত ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ মিনিটে।
আর বাকি ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩ঃ৩০ মিনিটে।)
#ইনশাল্লাহ_ফাইনাল_বাংলাদেশ_vs_ইংল্যান্ড_আর #কাপ_আমাদের 🏆
#শুভকামনা_রইলো_বাংলাদেশ_টাইগার_বাহিনী

Bangladesh Cricket Team Match Fixture:Icc World Cup 2019

June 05, 2019

একজন বেন স্টোকস!

ব্যাটিং,বোলিং এমনকি ফিল্ডিং তিন ইউনিটেই অলরাউন্ডার ক্রিকেটারদের দক্ষতা একটা দলের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আজকের ম্যাচের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়।বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৯ রান করার পাশাপাশি ২ উইকেট, ২ ক্যাচ এবং ১ রান আউট করে ম্যাচ জেতাতে সহায়তা করেন স্টোকস।
তবে অলরাউন্ডার ক্রিকেটারদের গুরুত্ব রাতারাতি বেড়ে যায়নি।কপিল দেব,ইমরান খান,ক্যালিস,ক্লুজনার,স্টিভ ওয়াহ,যুবরাজ,সায়মন্ডস,ফ্লিনটফদের হাত ধরে অলরাউন্ডার ক্রিকেটারদের গুরুত্ব প্রকাশ পায়।
সময়ের পরিক্রমায় সাকিব,স্টোকস,রাসেল,পান্ডিয়া,ম্যাক্সওয়েল,থিসারারা হয়ে গেছেন নিজ নিজ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।।দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি,উইকেট টেকিং এ্যাবিলিটি এবং দূর্দান্ত ফিল্ডিং দিয়ে ম্যাচের চিত্র যেকোনো মুহূর্তেই তারা ঘুরিয়ে দিতে পারেন তা অনায়াসে বলা যায়।

স্টোকসের অসাধারন অনুশীলন-https://www.facebook.com/watch/?v=347281565973047

Tuesday, June 4, 2019

June 04, 2019

জিততে পারবে কি না বাংলাদেশ!!!

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের তখন ২০/২২তম ওভার চলে.... ক্রিজে খুব সন্তর্পণে ব্যাট করছেন সাকিব ও মুশফিক! সিংগেলস, ডাবলসের পাশাপাশি নিয়মিত বাউন্ডারির চেষ্টা, বাউন্সার-আউটসুইংগার-গুগলিগুলোকে সতকর্তার সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছেন দু'জন।
বিশ্বাস করেন, এই আমিও; যে কি না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফলতা নিয়ে চরম মাত্রায় অপটিমিস্টিক থাকি, সে আমিও কখনওই শিউর ছিলাম না ইংল্যান্ডের বাউন্সি পিচে রাবাদা-এনগিডি-মরিসের সামনে, বিশ্বকাপের মত আসরে প্রত্যাশার চাপের ভেতরে থেকে প্রথম ম্যাচেই জিততে পারবে কি না বাংলাদেশ!!!
কিন্তু সেই ২০/২২তম ওভারেই যেন আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম এই বাংলাদেশ, ওই বাংলাদেশ না৷ এই বাংলাদেশ; অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড তথা সমস্ত 'বড় দলের' কাতারেরই তো! খেলা বা পারদর্শীতা মুখ্য বিষয় নয়, মানসিকতা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, উপস্থিত বিচক্ষণতা, উচ্ছ্বাস, আক্রমনাত্মক ভঙ্গী সবকিছুতেই ওই 'বড় দলগুলোর' চেয়ে আমরা পিছিয়ে নেই কোনোখানেই!
ফিল্ডিংয়ের দিকে চাইলে ভালবাসা-আবেগ আর উত্তেজনায় শরীরের রোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো বারবারই৷ সৌম্যর জীবন দিয়ে চেষ্টা করে ক্যাচ মিসের পর তার আফসোস, দুই বল পরেও অনুশোচনায় বারবার মাথা নাড়াতে দেখা গেছে ছেলেটাকে! মনে হচ্ছিলো দৌঁড়ায়ে গিয়ে বলি, 'Chin up Buddy, You did nothing wrong there! You tried your best, and still we are in the game! It's okay, Our Hero!'
মাহমুদউল্লাহর মিস জাজমেন্টের পর তার চোখে মুখে হতাশা, শেষ হতে থাকা মহা মূল্যবান সাকিবের এক ওভারে দুইটা বিগ চান্স ক্রিয়েট করেও সফল না হওয়ার পর সাকিবের কোমরে হাত দিয়ে অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকা, মিলারের বিপক্ষে সাইফুদ্দিনের মানসিক দ্বন্দ্বের সম্মুখিন হওয়া, বাউন্ডারি লাইনে তামিমের আপ্রাণ চেষ্টা, ২ বলে ২৪ রান লাগে অবস্থাতেও বাউন্ডারি বাঁচাতে মিরাজের ডেডিকেশান, ইভেন যে সাব্বিরকে পছন্দ করিনা, চার বাঁচাতে ছেলেটার ডাইভ, উইকেটের পিছে থেকে মুশফিকের গলা ফাটানো চিৎকার, সর্বশেষে মাশরাফি ভাইয়ের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ.... ওহ মাই 😍
সবকিছুতেই যেন ফুটে উঠলো দেশপ্রেম, ভালবাসা, আত্মপ্রত্যয়, আর কিছু জয় করে বিশ্বের বুকে নিজ দেশের সম্মান বাড়ানোর অসীম সাহস 😍 মন থেকে শুধু নয়, বারবার দাঁড়িয়ে স্যালুট জানাতে ইচ্ছে করছিল ওদের৷
ম্যাচ জেতার জন্য নয়, এই ম্যাচ হারলেও বাকি সব ম্যাচ হারলেও ওরা আমাদের কাছে আমাদের ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ, আইরন ম্যান, থর, হাল্ক, সুপারম্যান, ব্যাটম্যান! আমাদের রিয়েল হিরো! আমাদের ভালোবাসা!
বাংলাদেশ সমর্থকদের উদ্যেশ্যে বলতে চাই, সমর্থণ কারে বলে প্লিজ 'লিভারপুল' 'ডর্টমুন্ড' সাপোর্টারদের দেখেন, শিখেন। কোন মানসিকতার মানুষ হলে সৌম্যকে ওই ক্যাচ মিসের পর গালি দিতে পারেন? কেন মাহমুদুল্লাহার ভরা মাঠে হাজার দর্শক, ক্যামেরার সামনে মুখে আঙ্গুল রেখে চুপ করতে বলতে হয়? পুরো বিশ্বের সামনে ওরা ১৫ জন আমাদের দেশকে, দেশের সম্মানকে যেখানে প্রতিদিন উঁচু থেকে উঁচুতে নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ওই মাঠেই ওই ছেলেগুলিকেই গালি দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে 'এ দেশের মানুষের আচরণ' চিনায়ে দিয়ে আসলেন? বাহ!!!
মনে রাখবেন, দেশকে ভালোবেসে গ্যালারি-সোফা-বিছানায় বসে যে আবেগ-ভালোবাসা দেখান না??? মাঠে ১০০ ওভার খাটুনি করে, ডেডিকেশান দিয়ে যে সন্তানগুলি খেলে; দেশের জন্য, দেশের ক্রিকেটের জন্য আপনার ভালোবাসার চেয়ে শতগুণ বেশি ভালবাসা ধারণ করে আছে তারা!
জিতবো ইনশাআল্লাহ
দামাল ছেলেরা এগিয়ে যাক,
বিশ্ব চিনুক নতুন বাংলাদেশকে! ❤